প্রতিষ্ঠান প্রধানেরবানী

বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য অনেক শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন কমিশনের সুপারিশ শতভাগ সফলতা পায়নি। প্রায় চারদশক অতিবাহিত হলেও হয়নি কোন শিক্ষা নীতি। ফলে চল্লিশ বছরেও বাংলাদেশ দারিদ্রকে জয় করতে পারেনি। পারেনি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বিষয়টিকে উপলব্ধি করেন এবং ২০১০ সালে শিক্ষা নীতি ঘোষণা করেন, যা ২০১৮ সালের মধ্যে কার্যকর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষা ব্যবন্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন। ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনার মাধ্যমে শ্রেণি ব্যবস্থাপনার আমুল পরিবর্তন আনায়ন করেন। শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইড শিক্ষক বাতায়ন এবং মুক্তপাঠ নামে আর একটি ওয়েব সাইডের ব্যবস্থা করেন যার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলে যার যে অবস্থান থেকে স্বশিখনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারে।
বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, দূর্ণীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত, শিশুবিবাহমুক্ত, যৌতুকমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধশালী উন্নত রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে ও এলাকায় কোমলমতি শিশুকে সৎ, নির্ভক, আদর্শবান করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ধানদিয়া কাটাখালী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সাহায্য ও সহযোগীতায় অনেক বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করে বিদ্যালয়টি দিন দিন এগিয়ে চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক গড়তে, উন্নত জাতি গঠনে, সোনার বাংলার সোনার সৈনিক গঠনের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।